কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে ৭টি উপজেলার ২২টি ইউনিয়েনর লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার (১৮ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধরলার পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ২৩ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নাগেশ্বরী বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন জানান, বন্যায় তার ইউনিয়নের ৫০০-৬০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি এসব মানুষ অনেক দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছে।
চিলমারী উপজেলার নয়ারনাট ইউনিয়নের আমিনুল বলেন, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঘরে প্রবেশ করায় বউ বাচ্চা নিয়ে ঘরে উঁচু মাচা করে আছি। যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে আর ঘরে থাকারও উপায় থাকবে না।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি। উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় নদ-নদীর পানি আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোতে সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্পিডবোট, নৌকা এবং আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা মজুত রয়েছে।