তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের পাশে দাঁড়ালো পরম বন্ধু রাশিয়া। এক ঘোষণায় দেশটি জানিয়েছে, নিজের স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়ার অধিকার চীনের রয়েছে। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর প্রসঙ্গে এ কথা বললো মস্কো। এছাড়া উত্তর কোরিয়াও পেলোসির সফরে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
খবরে জানানো হয়, পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরপরই রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দেয়। এতেই বলা হয়, নিজের স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার চীনের আছে। এর আগে তাইওয়ানে পেলোসির সফরের কথা যখন শোনা যাচ্ছিল তখন একে ‘উস্কানি’ বলে আখ্যায়িত করেছিল মস্কো। যুক্তরাষ্ট্রকে সাবধান করে দিয়ে রাশিয়া বলেছিল, পেলোসির তাইওয়ান সফর যুক্তরাষ্ট্র-চীন সংঘাত সৃষ্টি করবে।
এদিকে বুধবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, চীনকে বিরক্ত করতেই সুচিন্তিতভাবে পেলোসিকে তাইওয়ানে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তা না হলে, কোনো কারণ ছাড়াই এ ধরণের বিরক্তিকর পরিবেশ তৈরির আর কোনো কারণ থাকতে পারে না। তারা জানে, এই সফর চীনের জন্য কী বার্তা পাঠায়।
মিয়ানমারে এক সফরের সময় এই বক্তব্য দেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অপরদিকে চীনের আরেক মিত্র দেশ উত্তর কোরিয়া পেলোসির এই সফরকে ‘নির্লজ্জ্ব’ বলে আখ্যা দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, এই সফর চীনের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নির্লজ্ব¡ হস্তক্ষেপ। তাইওয়ান সবসময়েই চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। এ নিয়ে বাইরের কোনো শক্তি যদি হস্তক্ষেপ করে আমরা প্রবলভাবে তার নিন্দা জানাই। একইসঙ্গে নিজের স্বার্বভৌমত্ব এবং অখ-তা রক্ষায় চীনের সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানায় উত্তর কোরিয়া। মুখপাত্র আরও বলেন, এ অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার মূল কারণ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরণের ইচ্ছাকৃত রাজনৈতিক এবং সামরিক উস্কানি।